কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে জবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

প্রকাশ : ০১ জুলাই ২০২৪, ১৪:১৭ | অনলাইন সংস্করণ

  জবি প্রতিনিধি:

কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে মিছিল

কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদ ও ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহালসহ চার দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (১ জুলাই) ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়’ এর ব্যানারে এ সমাবেশ করেন শিক্ষার্থীরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদ চত্ত্বর থেকে মিছিল শুরু হয়ে বিজ্ঞান অনুষদ ঘুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকে গিয়ে তা সমাবেশে পরিণত হয়। সমাবেশটি এরপর রায়সাহেব বাজার ও ভিক্টোরিয়া পার্ক ঘুরে ফের বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে গিয়ে শেষ হয়। এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘সারা বাংলায় কবর দে, কোটা প্রথার কবর দে’ ‘বাতিল বাতিল বাতিল চাই, কোটা প্রথার বাতিল চাই’ এমন বিভিন্ন স্লোগান দেন।

সমাবেশে শিক্ষার্থীরা বলেন, সরকার শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নিয়ে ২০১৮ সালে কোটা প্রথা বাতিল করে। হাইকোর্ট পুনরায় এ কোটা বহাল রেখেছে। বঙ্গবন্ধু বৈষম্যবিরোধী বাংলাদেশ গঠনের স্বপ্ন দেখতেন। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলায় বৈষম্যমূলক কোটা ব্যবস্থা থাকতে পারে না।

বিশ্ববিদ্যালয়ের দশম ব্যাচের শিক্ষার্থী সাজ্জাদ হোসাইন মুন্না বলেন, আমরা চারটি দাবিতে আন্দোলন করছি। আমাদের দাবি না মানা হলে পরবর্তীতে আমাদের লাগাতার কর্মসূচি চলবে। সারাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা একযোগে এ কর্মসূচি পালন করবেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩ ব্যাচের শিক্ষার্থী নকিবুল আহসান নিশাদ বলেন, আমাদের দাবি হাইকোর্টের রায় বাতিল করা হোক। সেই সাথে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে কোটা নয়, মেধা যাচাই করে চাকরি নিশ্চিত করতে হবে। বিশ্বে বিভিন্ন দেশের মতো আমাদের দেশেও কোটা আধুনিকায়ন করতে হবে।

শিক্ষার্থীদের চার দফা দাবি হলো- ২০১৮ সালে ঘোষিত সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল ও মেধাভিত্তিক নিয়োগের পরিপত্র বহাল রাখতে হবে; ১৮ এর পরিপত্র বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠন করে দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকারি চাকরিতে (সকল গ্রেডে) বৈষম্যমূলক কোটা বাদ দিতে হবে এবং কোটাকে ন্যূনতম পর্যায়ে নিয়ে আসতে হবে। সেক্ষেত্রে সংবিধান অনুযায়ী কেবল অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর কথা বিবেচনা করা যেতে পারে; সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিকবার ব্যবহার করা যাবে না এবং কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্য পদগুলোতে মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দিতে হবে; দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।


আমার বার্তা/শশী/এমই